বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের ২৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে সাজানো সংস্কৃতি

সাহিত্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন তাদের ২৩তম বার্ষিক উৎসবে ভিন্ন স্বাদের এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করল। গোটা অনুষ্ঠানকে নির্দিষ্ট কয়েকটি পর্বে ভেঙে নিয়ে একের পর এক সাংস্কৃতিক ঝলকের সাক্ষী হল দমদম রবীন্দ্রভবনের পরিপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ।
শুরুতেই শিববন্দনা ও অসাধারণ নৃত্য পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবাণী ছড়িয়ে দিলেন একদল শিল্পী। এর পর টানা চলে বহুবিধ প্রকৃতির সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীতের প্রাধান্য থাকলেও, পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গানের আলোকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান নৃত্য আকারে পরিবেশন করেছেন বহু শিল্পী।
শিশু পাঠ্য থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু সাহিত্য সংকলনকে পুনরায় নাটকের রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তোতাকাহিনী’ কথানাটিকাকে নৃত্য ও আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলল শিশুশিল্পীরা।
এমনকি রবিঠাকুরের গানকে বিদেশি সুরের সঙ্গে মিলিয়ে এক অনবদ্য এক সাংস্কৃতিক আবহ রচনা করেন শিল্পী শুভময় সেন। এ ছাড়া টলিউডের পরিচিত মুখ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য সমসাময়িক সাংস্কৃতিক জগতের এক অন্য রূপ উন্মোচন করে।সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যে স্থান পেয়েছে ‘চিত্রাঙ্গদা’। যা শুধু এই অনুষ্ঠাটির গুরুত্ব বাড়ায়নি, পুরো কর্মসূচিকেও সাফল্যের অন্য শিরোপা এনে দিয়েছে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় মধুমিতা বসু,ও নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন  সংস্থার কর্ণধার জয়িতা বিশ্বাস
অ্নুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্টরা। অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে রবীন্দ্রগানের জনপ্রিয় গায়ক মনোজ মুরলী নায়ার, যন্ত্রশিল্পী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা যোগ করে। সূচনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করলেন পুরপ্রধান পাঁচু রায় ও অন্যরা।

Comments